ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ইউএনও শেখ হাফিজুর রহমান রোজা থেকেও ২৫ তম বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করলেন।একজন বয়স্ক নারীর জীবন বাচাঁতে এই করোনাকালীন দুর্যোগে নিজ জীবনের ঝুঁকি লকডাউনের মধ্যেও রক্তদান করে মানবিক মানুষ হিসেবে নিজের উদারতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করলন।তাকে নিয়ে ময়মনসিংহের করোনাকালীন স্বেচ্ছাসেবক আলী ইউসুফের স্ট্যটাসটি হবুহু উদ্ধৃত করা হলো।
তিনি আমাদের ইউএনও
আমাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমাদের গর্ব!
জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত একজন বয়স্ক নারীকে অফিসে বসেই রোজা রেখে রক্ত দিলেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী শেখ হাফিজুর রহমান সজল।
গতকাল তাঁর দপ্তরের বসে কথা বলছিলাম। এমন সময় ফোন আসলো বন্ধু Moyeen Jhunu ‘র কাছ থেকে।
আমার কাছে আসা ফোনের কারণ জেনে কোন সময় ক্ষেপন না করেই বলে দিলেন আমি O+। ডোনার না পেলে আমাকে বলবেন।
করোনা দুর্যোগ! তারপর আবার রোজ এই অল্প সময়ে ডোনার খু্ঁজে না পেয়ে আজ তাঁকে ফোন দিয়ে বললাম “স্যার দুপুরে রোগির ডায়ালোসিস করবে রক্তটা দুপুরেই দরকার। একথা শুনেই বললেন “ঠিক আছে ব্যবস্থা করুন দুপুরেই দিব”
কিন্তু আপনিতো রোজা আমি বললাম।
তিনি বললেন তাতে কি?
“কোন সমস্যা হবেনা এখনি দিব তবে আমাকে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিতে হবে। আমি অফিসের কাজে অষ্টাধর যাবো।”
একজন সরকারি কর্মকর্তা অফিসের কাজে ছুটে যাবেন অন্যত্র, রোজা রেখেছেন তাতে যেন কিছুই না।
একজন মাকে বাঁচাতে হবে। গতকাল গেছে মা দিবস।
একজন অসুস্থ মায়ের জন্য বাংলাদেশ সরকারের একজন সরকারী কর্মকর্তার ভালোবাসার এক অনন্য নজিরের আজ সাক্ষী হয়েছি আমি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকা অবস্থায় একজন ধর্ষিতা ছাত্রীর জীবন বাঁচাতে প্রথম রক্তদেন নিজ দেহ থেকে।
এরপর কর্ম ব্যস্ততার মধ্যেও জীবনে ২৫ বার রক্ত দিয়ে কোয়ার্টার সেঞ্চুরি করলেন এই রক্তযোদ্ধা।
স্যালুট অফিসার
আজ আপনার এই উদারতা সদর ইউএনও কার্যালয়কে পবিত্র করে দিল।
যুগযুগ এই গল্প অনেকেই বহন করবে শ্রদ্ধার সাথে।
আবারও শ্রদ্ধা।